-উন্নয়ন সমন্বয়ের বাজেট প্রতিক্রিয়া অধিবেশনে ড. আতিউর রহমান
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান মনে করেন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জিডিপির ৪.৫ শতাংশ ঘাটতির যে প্রস্তাবনা রয়েছে তা আরও কমানো যেতো। তাঁর মতে- এই ঘাটতি ৩.৫ শতাংশে রাখা গেলে দেশীয় ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণের পরিমাণ আরও ৫৬ হাজার কোটি টাকা কমানো সম্ভব। ঘাটতি হ্রাসের মাধ্যমে ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরতা কমানো গেলে তা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হতে পারে বলে জানান তিনি। আজ (শুক্রবার, ০৭ জুন ২০২৪) ঢাকায় উন্নয়ন সমন্বয় কার্যালয়ের খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ কনফারেন্স কক্ষে বাজেট প্রতিক্রিয়া অধিবেশনে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করার সময় তিনি এ কথা বলেন। ব্যাংক এশিয়া পিএলসি এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত ‘আমাদের সংসদ’ কার্যক্রমের আওতায় এই অধিবেশন আয়োজিত হয়।
প্যানেল আলোচক হিসেবে অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন আর্ক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. রুমানা হক, ব্যাংকিং খাত বিশেষজ্ঞ ফারুক মইনউদ্দীন, এবং সমাজতাত্ত্বিক খন্দকার সাখাওয়াত আলী। মূল নিবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. আতিউর আরও বলেন যে, প্রস্তাবিত বাজেটটিতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও নিজস্ব অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলোর প্রতি সংবেদনশীলতার পরিচয় দিয়ে অনেকখানি সঙ্কোচনমুখিতা দেখানো হয়েছে, যা প্রশংসনীয়। তবে বিদ্যমান বাস্তবতায় বিশেষত উচ্চ মূল্যস্ফীতির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দের ক্ষেত্রে আরও উদারতা দেখানো যেতো। তা করা গেলে অস্থির আর্থসামাজিক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে সামাজিক পিরামিডের পাটাতনে থাকা মানুষদের জন্য আরও সুরক্ষা নিশ্চিত করা যেতো।
বাজেটে সঙ্কোচনের চাপ থাকার পরও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কিছুটা বাড়ানোর উদ্যোগকে বিশেষভাবে স্বাগত জানান ড. রুমানা হক। তবে যেহেতু দেশের মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি নাগরিকদেরই বহন করতে হচ্ছে, তাই বাজেটে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের জন্য চিকিৎসা সামগ্রি বাবদ এবং ডায়াগনোস্টিক টেস্ট বাবদ বরাদ্দ আরও বাড়ানো গেলে জনগণের ওপর স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমানো সম্ভব বলে মত দেন তিনি। ফারুক মইনউদ্দীন বলেন যে, রাজস্ব আহরণে বিদ্যমান করাদাতাদের ওপর বাড়তি করের বোঝা চাপানোর চেয়ে নতুন করদাতাদের করের আওতায় নিয় আসাটি বেশি জরুরি ও কার্যকর। বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে মানব সম্পদ উন্নয়নে যে নীতি-মনোযোগ দরকার, বাজেটের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার পরিকল্পনায় তা প্রতিফলিত হচ্ছে না বলে মনে করেন খন্দকার সাখাওয়াত আলি।
অধিবেশনে গণমাধ্যেমের প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে আয়োজকদের পক্ষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ব্যাংক এশিয়া পিএলসি-এর হেড অফ কর্পোারেট অ্যাফেয়ার্স সিদ্দিক ইসলাম।
Budget deficit could have been further reduced to ensure lesser reliance on bank loans
-Dr. Atiur Rahman at Unnayan Shamannay’s Budget Reaction Session
Former Governor of Bangladesh Bank and Emeritus Professor of Dhaka University- Dr. Atiur Rahman believes that the budget-makers could have opted for less than 4.5 percent of GDP deficit in the newly proposed budget. In that case the government would be creating less pressure on the domestic banking sector. He pointed out that if the budget deficit could be restricted to 3.5 percent of GDP, then the government would be borrowing BDT 56 crore less from the local banks. This could also be helping in containing the inflation. He said so today (Friday, 07 June 2024) in Dhaka at the Khondker Ibrahim Khaled Conference Hall at the Unnayan Shamannay office premises, while presenting the keynote paper at a post-budget reaction session. The event was organized as part of the ‘Amader Sangsad (Our Parliament)’ program which is being jointly implemented by the Bank Asia PLC and Unnayan Shamannay.
Other expert discussants at the session were- Ark Foundation Executive Director and Health Economist- Prof. Dr. Rumana Huque, Banking Sector Expert- Faruq Moinuddin, and Sociologist- Khondker Shakhawat Ali. In the keynote address, Dr. Atiur further pointed out that the budget-makers have shown their responsiveness to the prevailing global economic instabilities and domestic economic challenges through pursuing contractionary fiscal measures. Yet, Dr. Atiur believes, the budget-makers could have allocated more to education, health, and social safety sectors given the context of high inflationary pressure on the households.
Dr. Rumana Huque applauded the government for slightly increasing the allocations for the health sector despite contractionary pressure of the budget as a whole. However, given two-third of the overall health expenses in the country are actually being borne by the citizens (out-of-pocket health expenses), she suggested that increasing allocations for medical equipment and diagnostic tests at the government-run healthcare facilities could significantly reduce the healthcare burden of the common people. Instead of imposing more tax on the existing tax-payers, the policymakers should focus more on brining more tax-payers into the tax net- said Faruq Moinuddin. Khondoker Shakhawat Ali emphasized on bolstering allocations for education, health, and social security sectors.
Bank Asia PLC’s Head of Corporate Affairs- Siddique Islam delivered the vote of thank on behalf of the organizers.