-ডঃ আতিউর রহমান
বাংলাদেশে সম্ভাবনাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের বিকল্প নেই। এজন্য জাতীয় বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহন বাড়াতেই হবে। গণমাধ্যম এক্ষেত্রে বাজেট-প্রণেতাদের সঙ্গে জনগণের সংযোগ সূত্র হিসেবে কাজ করতে পারে। তবে সেজন্য গণমাধ্যমকেও তাদের বিশ্লেষণী দক্ষতা ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে যেতে হবে। আজ (মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪) ঢাকায় উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে “গণমাধ্যমের সাথে প্রাক-বাজেট মতবিনিময়” শীর্ষক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।
উন্নয়ন সমন্বয় কার্যালয়ের খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের সদস্য সচিব ও গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ জাহিদ রহমান ও ব্যাংক এশিয়া পিএলসি এর হেড অফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ সিদ্দিক ইসলাম। মাননীয় সংসদ সদস্য ও বিভিন্ন অংশীজনকে বাজেট বিষয়ে তথ্য ও গবেষণা সহযোগিতা দেয়ার লক্ষে ব্যাংক এশিয়া পিএলসি ও উন্নয়ন সমন্বয় যৌথভাবে যে “আমাদের সংসদ” কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে তার অংশ হিসেবে এই মতবিনিময় সভা আয়োজিত হয়।ড. আতিউর রহমান বলেন যে, আসন্ন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব বিশ্লেষণের সময় অবশ্যই অর্থনীতিতে বিদ্যমান কাঠামোগত চ্যালেঞ্জগুলোর পাশাপাশি ভূ-রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার বিষয়গুলোকে বিবেচনায় রাখতে হবে। বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলোর প্রেক্ষাপটে বাজেটের প্রস্তাবগুলো কতোটা প্রাসঙ্গিক হচ্ছে- তা জনগণ ও নীতি-নির্ধারকদের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গণমাধ্যম সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
জাতীয় বাজেটে থোক বরাদ্দের যৌক্তিকতা এবং শেষ পর্যন্ত ঐ বরাদ্দ কোথায়, কিভাবে ব্যয় হয় তা নিয়ে আলোচনা কম হয় বলে মনে করেন জাহিদ রহমান। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে আরো মনোযোগী হওয়ার আহবান জানান তিনি। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. আতিউর রহমান বলেন- মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে যদি প্রবৃদ্ধিতে কিছুটা ছাড় দিতে হয় তাতে দুর্ভাবনার কারণ নেই, কেননা এই মূহুর্তে প্রবৃদ্ধির হার বাড়ানোর চেয়ে মুদ্রাস্ফীতির হার কমানো বেশি জরুরী। অন্য আরেকটি প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান যে, আরএমজি রপ্তানিকারকদের দেয়া প্রণোদনা এই মুহূর্তে উঠিয়ে নেয়া ঠিক হবে না। অস্থির বিশ্ববাজারে টিকে থাকার জন্য আরএমজি রপ্তানিকারকদের এই প্রণোদনা চালু রাখা দরকার।
Participatory analysis of the National Budget needed for knowledge-based society.
– Dr. Atiur Rahman.
There is no alternative to building a knowledge-based society to realize Bangladesh’s potentials. To that end, the mass-media needs to serve as a bridge between the budget-makers and the people. However, to do so- the mass media must also continuously improve their budget analysis capacities. Former Governor of Bangladesh Bank and Unnayan Shamannay Chair- Emeritus Professor Dr. Atiur Rahman said so today (Tuesday, 28 may 2024) while Chairing a ‘Pre-budget Views Exchange Session with the Mass Media’ organized by Unnayan Shamannay.
The event was organized at the Khondker Ibrahim Khaled Conference Room at Unnayan Shamannay’s headquarters where other panel discussants were- the National Char Alliance Member Secretary and Mass Media Expert- Zahid Rahman; and Bank Asia PLC’s Head of Corporate Affairs and Communication Specialist Siddique Islam. The event was organized under the ‘Amader Sangsad’ platform jointly facilitated by the Bank Asia PLC and Unnayan Shamannay to assist stakeholders (including the Parliamentarians) with Budget-related data and analysis.
Dr. Atiur further added that while analyzing the National Budget for the next fiscal years media professionals must consider the prevailing domestic economic challenges as well as pressures created by volatile geopolitics. They can pay a pivotal role in communicating the relevance of budget proposals (in the context of this volatile reality) to the people as well as the policymakers.
Zahid Rahman emphasized on investigating the relevance of the block allocations in the national budget proposals as well as finding out where such allocations are spent. When asked about containing the inflationary pressure, Dr. Atiur inferred that the budget-makers must be willing to prioritize controlling inflation event if they must sacrifice GDP growth. He also opined against stopping the export incentives currently being enjoyed by the RMG exports. These exporters still require such support given the volatility in the global market.